ঢাকা ০৮:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলফাডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ৬ বসতবাড়ি ভাঙচুর, নারীসহ আহত ৮ সেতু না থাকায় যুগ যুগ দুর্ভোগে দুই উপজেলার হাজারো বাসিন্দা ফরিদপুরে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারি গ্রেফতার আগামীকাল ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা, তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে আজানের শব্দে ‘অসুবিধা হচ্ছে’ বলায় বিএনপি নেতার প্রতিবাদ, ছুরিকাঘাতে হত্যা মধ্যরাতে ডাকসু প্রার্থীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, আতঙ্ক ফরিদপুরে তিনমাসে ১৩২ মাদক কারবারী গ্রেফতার, বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ ফরিদপুরে ১০৬ বছর পরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক শোডাউন ফরিদপুরে শ্রমিকদলের সংবাদ সম্মেলন: পূর্বের কমিটিকে অবৈধ ও কার্যকলাপ বেআইনী ঘোষণা ধর্ষণ বা যৌণ হয়রানির ৮০ শতাংশ ঘটনা আপোষ হওয়ায় কমছে বিচার, বাড়ছে ঘটনা

সালথায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কুমার নদে বালু উত্তোলন 

মনির মোল্যা সালথা: 
ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসন অভিযান চালানোর পরেও কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারের পাশে কুমার নদ থেকে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে নদের দুই পাড়ে থাকা কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়ক চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো সময় সড়ক ভেঙে নদে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রসুলপুর বাজারের পাশে কুমার নদের মাঝে একটি ডাবল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন মাহমুদ নামে চিহ্নিত এক বালু ব্যবসায়ী। তিনি রসুলপুর-সালথা সড়ক ও রসুলপুর-মাদরাসা গট্টি সড়ক ছিদ্র করে পাইপ বসিয়েছেন। এতে সড়ক দুটিতে ফাটল ধরেছে।
অপরদিকে বালু উত্তোলনের ফলে নদের দুই পাড় ভেঙে পানি ধুয়ে যাচ্ছে। পাশেই বড়দিয়া বাজার এলাকায় কুমার নদের মাঝে আরো দুটি ড্রেজার মেশিন বসানো দেখা যায়। যদিও মেশিন দুটি বন্ধ ছিল। তবে ওই দুটি মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদে পাড় ভেঙে রয়েছে।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মাহমুদের ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দেয়। কিন্তু অভিযানের পরেও আবার দেখতেছি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। এতে নদের পাড় ভেঙে যাচ্ছে। এমনটি রসুলপুর বাজার সেতুও ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ ড্রেজারটি সেতুর পাশেই বসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাহমুদ প্রায় একযুগ ধরে আমাদের এলাকার ফসলি জমি ও কুমার নদ ধ্বংস করে বালু-মাটির ব্যবসা করে আসছে। অথচ তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ড্রেজার মালিক মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিল প্রশাসন। এতে আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই উপর মহলকে ম্যানেজ করে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করেছি। অভিযানে আমার যে টাকার ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হলে ড্রেজার মেশিন উঠিয়ে ফেলবো।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, মাহমুদের ড্রেজার কয়েকদিন আগে ভাঙা হয়েছে। সে যদি আবারও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে থাকে, তাহলে আবারও অভিযান চালানো হবে।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৭:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
৮১ বার পড়া হয়েছে

সালথায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কুমার নদে বালু উত্তোলন 

আপডেট সময় ০৭:২৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
ফরিদপুরের সালথায় প্রশাসন অভিযান চালানোর পরেও কুমার নদে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাত-দিন ২৪ ঘন্টা চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারের পাশে কুমার নদ থেকে এই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ফলে নদের দুই পাড়ে থাকা কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা সড়ক চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। যেকোনো সময় সড়ক ভেঙে নদে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার রসুলপুর বাজারের পাশে কুমার নদের মাঝে একটি ডাবল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন মাহমুদ নামে চিহ্নিত এক বালু ব্যবসায়ী। তিনি রসুলপুর-সালথা সড়ক ও রসুলপুর-মাদরাসা গট্টি সড়ক ছিদ্র করে পাইপ বসিয়েছেন। এতে সড়ক দুটিতে ফাটল ধরেছে।
অপরদিকে বালু উত্তোলনের ফলে নদের দুই পাড় ভেঙে পানি ধুয়ে যাচ্ছে। পাশেই বড়দিয়া বাজার এলাকায় কুমার নদের মাঝে আরো দুটি ড্রেজার মেশিন বসানো দেখা যায়। যদিও মেশিন দুটি বন্ধ ছিল। তবে ওই দুটি মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদে পাড় ভেঙে রয়েছে।
স্থানীয় রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে মাহমুদের ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দেয়। কিন্তু অভিযানের পরেও আবার দেখতেছি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেছে। এতে নদের পাড় ভেঙে যাচ্ছে। এমনটি রসুলপুর বাজার সেতুও ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ ড্রেজারটি সেতুর পাশেই বসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মাহমুদ প্রায় একযুগ ধরে আমাদের এলাকার ফসলি জমি ও কুমার নদ ধ্বংস করে বালু-মাটির ব্যবসা করে আসছে। অথচ তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ড্রেজার মালিক মাহমুদ বলেন, কয়েকদিন আগে আমার ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়েছিল প্রশাসন। এতে আমার অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই উপর মহলকে ম্যানেজ করে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করেছি। অভিযানে আমার যে টাকার ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হলে ড্রেজার মেশিন উঠিয়ে ফেলবো।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, মাহমুদের ড্রেজার কয়েকদিন আগে ভাঙা হয়েছে। সে যদি আবারও ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে থাকে, তাহলে আবারও অভিযান চালানো হবে।