ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ভাঙ্গার জনপদের ফের আতঙ্ক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সুমন সদরপুরে গোসল করতে গিয়ে ভাই বোনের মৃত্যু ভাঙ্গায় এক প্রবাসীকে ফাঁসাতে সাবেক স্ত্রীর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  ফরিদপুরে যুবদল নেতা রঞ্জিত ও লিটন হামলাকারীদে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ফরিদপুরে জুট ফাইবারস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ড র‍্যাবের অভিযানে বাসচালক সুমন গাজী গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই জ‌মে উঠে‌ছে রাজবাড়ীর লোকজ মেলা নগরকান্দায় এসএসসির ২৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার  নববর্ষের প্রতিজ্ঞা হোক গণতন্ত্র স্বাধীনতা নতুন বাংলাদেশ দূর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ রাজনীতি : শ্যামা ওবায়েদ রিঙ্কু অনিয়ম ও অবহেলায় নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে চিকিৎসা সেবা

রাজবাড়ীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

একে আজাদ রাজবাড়ী:
রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালী আক্তারের অপসারণ ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এই চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ।
জানা যায়, শেফালী বেগমের স্বামী আব্দুল লতিফ মিয়া ছিলেন বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান, তিনি ইতি পূর্ব দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর শেফালী বেগম সরাসরি রাজনীতিতে আসেন এবং ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন।
 আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করেন এই ইউনিয়নের বেশকিছু জনসাধারন ও রাজনৈতিক ব্যক্তি।  এসময় বক্তব্য রাখেন বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম, বানীবহ বাজারের ব্যবসায়ী খলিলুল রহমান খলিল, ইউনিয়ন ইমাম কমিটির সভাপতি দাউদ ব্যাপারী, যুবদল নেতা মো. মুন্সী, ছাত্র প্রতিনিধি মো. সুমন ইসলামসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেফালী বেগমের স্বামী আব্দুল লতিফ মিয়া ছিলেন বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তার স্বামীর মৃত্যুর পর শেফালী বেগম সরাসরি রাজনীতিতে আসেন এবং ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন।
তারা অভিযোগ করে বলেন তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর নির্দেশে বানীবহ ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর অনেক জুলুম-অত্যাচার চালিয়েছেন। জন্মনিবন্ধন সনদ ও বিভিন্ন ভাতা কার্ড করতে তিনি দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেফালী বেগমের নেতৃত্বে সরাসরি নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়। এছাড়া এই ইউপি চেয়ারম্যান বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদকে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বলেও মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। অবিলম্বে তাকে অপসারণ করে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
তবে এবিষয় বানীবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেফালী বেগম সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামী হত্যার মামলার আসামীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা তাদের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী নিয়ে এই মানববন্ধন করেছেন। আমি মেয়ে মানুষ,  নিয়মিত অফিস করছি, জনগণের সঠিক সেবা দিচ্ছি। বানীবহ ইউনিয়নের জনগণের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। মানববন্ধনে তারা আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলছে  তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৯:২০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৯:২০:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
রাজবাড়ী সদরের বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেফালী আক্তারের অপসারণ ও তাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এই চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ।
জানা যায়, শেফালী বেগমের স্বামী আব্দুল লতিফ মিয়া ছিলেন বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান, তিনি ইতি পূর্ব দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হন। তার স্বামীর মৃত্যুর পর শেফালী বেগম সরাসরি রাজনীতিতে আসেন এবং ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন।
 আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করেন এই ইউনিয়নের বেশকিছু জনসাধারন ও রাজনৈতিক ব্যক্তি।  এসময় বক্তব্য রাখেন বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম, বানীবহ বাজারের ব্যবসায়ী খলিলুল রহমান খলিল, ইউনিয়ন ইমাম কমিটির সভাপতি দাউদ ব্যাপারী, যুবদল নেতা মো. মুন্সী, ছাত্র প্রতিনিধি মো. সুমন ইসলামসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেফালী বেগমের স্বামী আব্দুল লতিফ মিয়া ছিলেন বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তার স্বামীর মৃত্যুর পর শেফালী বেগম সরাসরি রাজনীতিতে আসেন এবং ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিনা ভোটে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন।
তারা অভিযোগ করে বলেন তিনি রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক এমপি কাজী কেরামত আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীর নির্দেশে বানীবহ ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপর অনেক জুলুম-অত্যাচার চালিয়েছেন। জন্মনিবন্ধন সনদ ও বিভিন্ন ভাতা কার্ড করতে তিনি দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেফালী বেগমের নেতৃত্বে সরাসরি নিরীহ ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো হয়। এছাড়া এই ইউপি চেয়ারম্যান বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদকে অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন বলেও মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়। অবিলম্বে তাকে অপসারণ করে গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।
তবে এবিষয় বানীবহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেফালী বেগম সাংবাদিকদের জানান আমার স্বামী হত্যার মামলার আসামীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা তাদের কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী নিয়ে এই মানববন্ধন করেছেন। আমি মেয়ে মানুষ,  নিয়মিত অফিস করছি, জনগণের সঠিক সেবা দিচ্ছি। বানীবহ ইউনিয়নের জনগণের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। মানববন্ধনে তারা আমার বিরুদ্ধে যে কথা বলছে  তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।