সংবাদ শিরোনাম :
পাংশায় অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসির বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ
অপহরণ মামলা থেকে বাঁচতে ওসি ও এস আই সহ তিন জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ তুলে রাজবাড়ীর আদালতে মামলা করেন রিমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূ।
গত রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বাদী হয়ে ওই গৃহবধূ মামলা করেন। এই মামলার বাদী রিমা আক্তার ও তার স্বামী শরিফুল ইসলাম এক কলেজ ছাত্রী (১৭) অপহরণ মামলার ৪ ও ৫ নং আসামী ও রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
এই মামলায় আসামী করা হয়েছে রাজবাড়ী জেলার পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাউদ্দিন, উপ পরিদর্শক (এসআই) হিমাদ্রি হাওলাদার ও আরিফ হোসেন নামের ব্যক্তিকে।
গত রবিবার (২ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় দুই নারীর সহযোগিতায় কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামী রিমা আক্তারকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে তবে এসময় তার স্বামী শরিফুল ইসলাম পালিয়ে যায়।
পরের দিন সোমবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ওই কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে ফেরত দিলে, পুলিশও রিমার পরিবারের জিম্মায় রিমাকে ফেরত দেওয়া হয়।
এদিকে মামলার বাদী গৃহবধূ রিমা আক্তার এজাহারে উল্লেখ করেন, পাংশা থানার ওসির নির্দেশে এস আই ও এক সহযোগী রাত ১১ টার দিকে তারা ঘরের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করেন ও তার স্বামীকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমার স্বামীকে না পেয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়,স্থানীয় লোকজন তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে ২০ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহণসহ মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয়।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সালাউদ্দিন বলেন, গত (২৫ মার্চ) পাংশা থানায় এক গৃহবধূ মেয়ে অপহরণের মামলা দায়ের করেন, রিমা আক্তার ওই মামলার ৫ নং আসামী।
মূল অপহরণকারী রিমা আক্তারের ভাতিজা, গত রবিবার অপহরণের অভিযোগে রিমা আক্তার কে তার বাড়ি থেকে স্থানীয় দুই নারীর সহযোগিতা থানায় নিয়ে আসা হয়। পর দিন দুপুরে অপহরণ হওয়া কলেজ ছাত্রীকে তারা ফেরত দিলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে রিমা আক্তার কে তার পরিবারের জিম্মায় ফেরত দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এবং পুলিশের সঠিক কাজে বাঁধা সৃষ্টি করতে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে।
রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী জাহিদ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিচারক গৃহবধূর করা মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ফরিদপুর কার্যালয়ের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্যাগস :