ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টেন্ডার নিয়ে ছাত্রদল নেতা ও কর্তৃপক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের দরপত্র (টেন্ডার) নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে নিয়মবর্হিভূতভাবে কাজ নেয়ার জন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হুমকি-ধমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। তবে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওই দরপত্রের কাজ দেয়া হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রদল নেতা। এ নিয়ে দরপত্র উন্মুক্ত করতে নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, জেলা সদরের কানাইপুরে অবস্থিত ‘ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি’ গত ১৫ দিন পূর্বে লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫টি দরপত্র প্রকাশ করেন। প্রতিটি দরপত্রের অনুকূলে ১০ লক্ষ টাকা কাজের মূল্য ধরা হয়েছে, যা সর্বমোট ৫০ লক্ষ টাকা মূল্যা নির্ধারন করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার দরপত্র উন্মুক্ত করার তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। এরমধ্যে ১৬টি দরপত্র বিক্রি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, দরপত্র প্রকাশের পর থেকে স্থানীয় রামখন্ড গ্রামের বাসিন্দা সোহেল মুন্সি নামে এক ছাত্রদল নেতা কাজটি নেয়ার জন্য হুমকি-ধমকি সহ চাপ সৃষ্টি করে আসছেন। তিনি কোতয়ালী থানা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে রয়েছেন। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার দলবল নিয়ে এজিএম সহ কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। এমনকি কর্মচারীদের মারধরও করেন।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সোহেল মুন্সীসহ তিন-চার জন মিলে দুদিন যাবৎ অফিসের কর্মচারীদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে এবং নিয়মবর্হিভূতভাবে টেন্ডারের কাজ নিতে সমিতির কর্মচারীদের চাপ সৃষ্টি করছে, হামলার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা তাদের বলেছি যদি আপনাদের লাইসেন্স থাকে, নিয়ম অনুসারে টেন্ডার কিনতে পারেন। আমার ধারণা কাজ করার মত তাদের কোন লাইসেন্স নেই। কাজ না পেলে তারা গেটে তালা লাগিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল (মঙ্গলবার) দরপত্রটি উন্মুক্ত করা হবে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতা বা হামলার আশঙ্কা করছি। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি এবং লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে জানিয়ে দেব।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাল্টা অভিযোগ করেন ওই ছাত্রদল নেতা। তার নিজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স না থাকলেও অন্যের লাইসেন্সের মাধ্যমে সিডিউল ক্রয় করবেন বলেও জানান।
সোহেল মুন্সি অভিযোগ করে বলেন, কানাইপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একটি সিন্ডিকেটের দখলে রয়েছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ দেয়া হচ্ছে। বিগত দিনে যারা পেয়েছে তারাই কাজগুলো নিচ্ছে। আমরা শিডিউল কিনতে গেলে সমিতির কর্মচারী ফিরোজ সাহেব আমাদের সঠিক তথ্য দেননি। তিনি বলেছেন, শিডিউল কিনতে হলে ঢাকা থেকে কিনতে হয় এখানে নাই। তখন আমরা জিএম সাহেবের সাথে কথা বলি, তিনি বলেন এখান থেকে সিডিউল কেনা যায়। এনিয়ে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে, কোন হুমকি দেয়া হয়নি।