র্যাবের অভিযানে বাসচালক সুমন গাজী গ্রেপ্তার
র্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শামীম হাসান সরদারের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জেলার নগরকান্দা উপজেলা শংকরপাশা গ্রামের শুকুর গাজীর ছেলে। রাতেই তাঁকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে মহাসড়কটির জেলা সদরের বাখুন্ডা শরিফা জুটমিলের সামনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যান এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুজন। এ ছাড়া আহত হন প্রায় ৩০ যাত্রী।
ঘটনার পর পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তবে ঘটনার পর প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্ত উঠে আসে, অতিরিক্ত গতিতে ওভারটেকিং করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা কবলে পড়ে বাসটি। ঘটনার পরে বাসচালক ও তাঁর সহকারী পালিয়ে যান।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানান, ঘটনার পরদিন নিহত ফজিরন নেছার (৬০) ছেলে মো. রুবেল মিয়া বাদী হয়ে ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানায় সড়ক মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ফজিরন নেছা তাঁর মেয়ের বাড়ি নগরকান্দা থেকে নিজের বাড়ি ফরিদপুরে যাওয়ার উদ্দেশে মুকসুদপুর বাসস্ট্যান্ডে মিনি বাস ফারাবি এক্সপ্রেসে ওঠেন। পরে মহাসড়কের জোয়াইর মোড় এলাকায় এলে বাসচালক সুমন গাজী বেপরোয়া গতির কারণে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগিয়ে দেয়। পরে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ফজিরন নেছাসহ সাতজন নিহত হন।
র্যাব জানায়, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিকে আইনের আওতায় নিতে অধিনায়ক, র্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার বাসচালককে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।