ভাঙ্গায় এক প্রবাসীকে ফাঁসাতে সাবেক স্ত্রীর অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় তালাকের পর থেকে সাবেক স্ত্রী ‘অপপ্রচার’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ চালাচ্ছেন উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তুজারপুর ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী সাহাবুদ্দিন ফকির। বুধবার দুপুরে তার নিজ বাড়িতে স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময় সৌদি প্রবাসী সাহাবুদ্দিন ফকির সংবাদিকদের বলেন, আমি ২০০৪ সালে পার্শ্ববর্তী সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি গ্রামের সালাম সরদারের কন্যাকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করি এবং আমার তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০৮ সালে আমি ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরবে যাই । সৌদি প্রবাসে থাকা অবস্থায় জানতে পারি আমার স্ত্রী বিভিন্ন লোকের সাথে পরকীয়া শুরু করে। এবিষয় আমার পরিবারের লোকজন আমাকে বিস্তারিত ঘটনা জানায়।
এ নিয়ে কয়েকবার বাড়িতে শালীস বৈঠক হয়। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও আমার পরিবারের লোকজন আমার বাড়িতে এক শালীস বৈঠক হয়। উক্ত শালীস বৈঠকে আমার তিনটি কন্যা সন্তান সহ আমার স্ত্রী তার বাবা মা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর আমি ফোন করলে আমার স্ত্রী ফোন ধরে না। আমার শ্বশুর শাশুড়ি বলে আমার মেয়েকে আর তোমার কাছে দিব না। তাকে অন্য এক সরকারি চাকুরীজিবির পাত্রের সাথে বিয়ে দিয়েছি।
এ ঘটনার আগে থেকে আমার স্ত্রীর ভাই সুমন সরদার বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি দেয় এবং আমার বাড়ি এসে আমাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনার পর আমি ভাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দেই। এরপর আমার শশুর শাশুড়ী সহ বিভিন্ন লোক মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্ত্রীকে অন্য জায়গায় বিবাহ দিয়েছে।
এরপর আমি তাকে তালাক দিয়ে গত ২০২১ সালে ফরিদপুর সদর এলাকায় আবার বিবাহ করি। সেই ঘর আমার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল আমার সাবেক স্ত্রী আমার কন্যা সন্তানদের সাথে নিয়ে আমার বাড়িতে আসে এবং ঘরের দরজা বন্ধ করে আমার মেয়েকে সাবানের গুড়া খাওয়ায়া সন্তানকে মেরে আমার পরিবারকে ফাঁসাতে চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। আমার কন্যা সন্তানকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করি সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর হাসপাতালে ভর্তি করি। হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার সাবেক স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।
এই সৌদিপ্রবাসী আরও জানায়, আমি দীর্ঘদিন সৌদিতে থাকা অবস্থায় আমার কষ্টে অর্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা, স্বর্ন অলংকার সব নিয়ে গেছে ঐ স্ত্রী এবং তার নামে ১০ কাঠা জমিও লিখে দিয়েছি। আমাকে নিঃস্ব করেও তিনি ক্ষ্যান্ত হননি।।