ঢাকা ০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সদরপুরে জুলাই পূনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত ঢাকার মাইলইস্টোনে নিহত শিশুদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফরিদপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: নায়াবা ইউসুফ ফরিদপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের  শোক র‍্যালি অনুষ্ঠিত  সালথায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রের ৫ জন নিহতের ঘটনার ১৭ দিন পর বাস চালক গ্রেফতার  ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদকের ভোটে উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচিত হবেন ফরিদপুরে ইটভাটায় ৮ লাখ টাকা দাবি, না পেয়ে প্রবেশপথ আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ ফরিদপুরে কিশোরদের মাধ্যমে মাদক বিক্রিকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক -১ সালথায় নানা বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু 

সালথায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ

সালথা প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা নুরু মাতুব্বর এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা জাহিদ মাতুব্বর এই দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় উপজেলা যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুববর।

এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে বলেন, ‘২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসরেরা। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আজ বিকেলে আমার সমর্থক বাজারের ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপির লোক দাবি করেন। তিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
৫১৯ বার পড়া হয়েছে

সালথায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আপডেট সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা নুরু মাতুব্বর এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা জাহিদ মাতুব্বর এই দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় উপজেলা যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুববর।

এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে বলেন, ‘২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসরেরা। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আজ বিকেলে আমার সমর্থক বাজারের ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপির লোক দাবি করেন। তিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা।