ঢাকা ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফরিদপুরে জুট ফাইবারস লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ড র‍্যাবের অভিযানে বাসচালক সুমন গাজী গ্রেপ্তার প্রথম দিনেই জ‌মে উঠে‌ছে রাজবাড়ীর লোকজ মেলা নগরকান্দায় এসএসসির ২৩ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার  নববর্ষের প্রতিজ্ঞা হোক গণতন্ত্র স্বাধীনতা নতুন বাংলাদেশ দূর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ রাজনীতি : শ্যামা ওবায়েদ রিঙ্কু অনিয়ম ও অবহেলায় নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে চিকিৎসা সেবা সদরপুরে ন্যাশনাল প্রাইভেট হাসপাতালের উদ্বোধন কমলগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন  পহেলা বৈশাখে পাংশা উপজেলা প্রশাসনের বর্ণাঢ্য আয়োজন রাজবাড়ীতে নানা আয়োজনে বরণ করা হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২

সালথায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ

সালথা প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা নুরু মাতুব্বর এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা জাহিদ মাতুব্বর এই দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় উপজেলা যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুববর।

এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে বলেন, ‘২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসরেরা। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আজ বিকেলে আমার সমর্থক বাজারের ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপির লোক দাবি করেন। তিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
৩৫৮ বার পড়া হয়েছে

সালথায় আধিপত্য বিস্তারে স্থানীয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আপডেট সময় ০২:৫১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ২৫ থেকে ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষের অন্তত ৭/৮টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এতে প্রায় ২ ঘণ্টা চলে সংঘর্ষ।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত হওয়ায় সংঘর্ষ ঠেকাতে বেগ পেতে হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুই পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা নুরু মাতুব্বর এবং স্থানীয় যুবলীগ নেতা বা বর্তমান বিএনপির নেতা জাহিদ মাতুব্বর এই দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ববিরোধ রয়েছে। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় এ পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসুর মাতুব্বর। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেয় উপজেলা যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুববর।

এ বিরোধের জেরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নুরু মাতুব্বরের সমর্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙে লুটপাট করে প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১০টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় জাহিদ মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি নিজেকে বিএনপির লোক দাবি করে বলেন, ‘২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিংকু (বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসরেরা। তারা আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে আজ বিকেলে আমার সমর্থক বাজারের ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষের প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে মুনসুর মাতুব্বরও নিজেকে এবং ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপির লোক দাবি করেন। তিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে আমাদের মারামারি হয়েছে। যুবলীগের নেতা জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর লোক। বিগত দিনে তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামে আমাদের পক্ষের সবুর খাঁকে প্রথমে মারধর করে তারা।