বিক্ষোভ,মারপিট হানাহানির তীর্থস্থানে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হামলার শিকার
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কেএম ইয়ামিনুল হাসান আলিফ হামলার শিকার হন। জানাযায়, গতকাল বুধবার সন্ধ্যার এ ঘটনা ঘটে। এসময় আলিফের মটরসাইকেলটি জব্দ করে শিক্ষার্থীরা। আলিফ বেশ কিছু দিন যাবৎ গোবিপ্রবির আভ্যন্তরীন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং রিয়্যাল লাইফে বিশ্ববিদ্যালয় চৌহদ্দির মধ্যে বেশ কিছু ইস্যুতে বেশ আক্রমণাত্মক বা সমালোচনামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করায় সাধারন শিক্ষার্থীদের বিরাগবাজন হন। তাছাড়া প্রক্টর আরিফুজ্জামান রাজীবকে হটিয়ে সাবেক প্রক্টর কামরুজ্জামানকে পুনরায় প্রক্টর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার গোপন চক্রান্ত শুরু করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
গোবিপ্রবি’র একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান প্রক্টর ড.আরিফুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার রাতে বিক্ষোভ করে এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের শিক্ষার্থীরা তারা তাদের শিক্ষক ড.হুর ই জান্নাতকে হেনস্তা করেছেন ড. আরিফুজ্জামান রাজীব। হেনস্তার অভিযোগে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজিবের শাস্তির দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা। পরে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্তের আশ্বাস দিলে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আন্দোলন তুলে নেন তারা।
এদিকে এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেনারি মেডিসিন (এএসভিএম) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. হুর-ই-জান্নাত জ্যোতির বিরুদ্ধে পরীক্ষার মার্ক টেম্পারিং, প্রশ্ন ফাঁস ও কতিপয় শিক্ষার্থীদের সুবিধা দেয়াসহ নানা অনিয়মের বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করানোর অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজিব।
এসব ঘটনার মধ্যে গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কেএম ইয়ামিনুল আলিফ নিজ উদ্দেশ্য হাসিল করতে তৎপরতা বৃদ্ধি করে আগ্রাসী হয়ে উঠে সাধারন শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন। উত্তেজিত ছাত্ররা তাকে জুতার মালা পরিয়ে আহতাবস্থায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে ওঠানোর সময়ও শতাধিক শিক্ষার্থীরা তার পিছু ধাওয়া করে কিল,ঘুষি মারছিলেন বলে জানা গেছে।
গুরুতর আহত গোবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কেএম ইয়ামিনুল আলিফকে চিকিৎসার জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ বেড হাসপাতালে নেয়ার পর সদর থানায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য শিক্ষা প্রদানের মহানব্রত নিয়ে গড়ে ওঠা গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে কথায় কথায় বিক্ষোভ, মিছিল, মারামারি, অপকর্মের তীর্থস্থান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে।