ঢাকা ০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সদরপুরে জুলাই পূনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত ঢাকার মাইলইস্টোনে নিহত শিশুদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফরিদপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: নায়াবা ইউসুফ ফরিদপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের  শোক র‍্যালি অনুষ্ঠিত  সালথায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রের ৫ জন নিহতের ঘটনার ১৭ দিন পর বাস চালক গ্রেফতার  ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদকের ভোটে উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচিত হবেন ফরিদপুরে ইটভাটায় ৮ লাখ টাকা দাবি, না পেয়ে প্রবেশপথ আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ ফরিদপুরে কিশোরদের মাধ্যমে মাদক বিক্রিকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক -১ সালথায় নানা বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু 

ঈশান গোপালপুরের গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে  

নিজেস্ব প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদরের উপজেলার ঈশান গোপালপুর গ্রামের ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে গন হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।  প্রতিবছর এই দিনে গণহত্যা দিবস পালিত হয়। স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করার হয়। পরবর্তিতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ১০:৩১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
১৭৩ বার পড়া হয়েছে

ঈশান গোপালপুরের গণহত্যার ৫৪তম বার্ষিকী পালিত হয়েছে  

আপডেট সময় ১০:৩১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
ফরিদপুর সদরের উপজেলার ঈশান গোপালপুর গ্রামের ১৯৭১ সালের ২ মে দুপুরের দিকে ঈশান গোপালপুর গ্রামের ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে গন হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী।  প্রতিবছর এই দিনে গণহত্যা দিবস পালিত হয়। স্থানীয় ঈশান সরকারের জমিদার বাড়িতে ওই বাড়ির সদস্য, গ্রামবাসী ও আশ্রয় নেওয়া ২৮ ব্যক্তিকে একত্রিত করে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, আশুতোষ সরকার, যোগেশ চন্দ্র ঘোশ, গৌরগোপাল ঘোষ, বাবলু ঘোষ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফরিদপুর শহরের সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারের সদস্যরা আত্মরক্ষার জন্য ওই সরকার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পাকিস্তানী বাহিনীর এ গণহত্যায় মদদ দিয়েছিল ওই এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার স্বাধীনতা বিরোধীরা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ২১ এপ্রিল পাকিস্তানী হাদনাদার বাহিনী ফরিদপুরে প্রবেশ করে। ফরিদপুরে প্রবেশের পথে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গনে কীর্তনরত নয় সাধুকে হত্যা করে।  ২ মে ঈশান গোপালপুর গ্রামের জমিদার বাড়িতে এ হত্যাকান্ড ছিল বৃহত্তর ফরিদপুরের প্রথম পরিকল্পিত গণহত্যা।
হত্যাকান্ডের পর পাকসেনারা চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী সরকার বাড়ির পুকুর পাড়ে ২৮ জনের মৃতদেহ গণসমাধি দেয়।
শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট বামপন্থী নেতা চিত্ত ঘোষ বলেন, ২০১০ সালের ২মে শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে সেখানে ২৮ শহীদের নাম ফলক সহ একটি স্মৃতি ফলক নির্মাণ করার হয়। পরবর্তিতে ২০২০ সালে সরকারের উদ্যোগে গণহত্যার শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়।
এ গণহত্যার স্মরণে আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সমাধী ফলকের কাছে স্থাপিত মন্দিরে গীতাপাঠ ও নারয়াণ পূজার আয়োজন করা হয়। গীতা পাঠ ও পূজা করেন দীপক ঠাকুর। পরে সম্বলিত সৌধে ফুল অর্পণ করে এবং মোমবাতী প্রজ্জ্বলন করে শহীদদের আত্মার সগতি কামনা করা হয়। বেলা ১১টার দিকে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের মাঝে পূজার প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্য ক্ষিতিশ বিশ্বাস, অভী ঘোষসহ স্থানীয় গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।