সালথায় চলাচলের পথে ঘর নির্মানে প্রতিবেশির পথ বন্ধের অভিযোগ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে অর্ধশত বছরের চলাচলের পথে নতুন ঘর নির্মান করে, প্রতিবেশির পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের ইউনুস মাতুব্বরের ছেলে রাজ্জাক মাতুব্বর (৪০) এর বাড়ি যাওয়ার কোন পথই নেই। যে পথ দিয়ে প্রায় অর্ধশত বছর ধরে চলাচল করে আসছিলো রাজ্জাক মাতুব্বরের পরিবারসহ আরো পাঁচটি পরিবার, হঠাৎ পথটি বন্ধ হওয়াতে বিপাকে ওই পরিবারগুলি। অথচ সেই পথের জমি রাজ্জাকের বাবা ইউনুস মাতুব্বরের পৈতৃক সম্পত্তি। রাজ্জাকের চাচাতো ভাই এবং তার প্রতিবেশী আছাদ মাতুব্বর গং রাস্তার পাশ দিয়ে দখলে থাকলেও, চাচাতো ভাই রাজ্জাকদের চলাচলের পথ ছিলো তাদের বাড়ির উপর দিয়ে। হঠাৎ সেই পথের উপর আছাদ মাতুব্বর গংরা নতুন ঘর নির্মান করলে বিপাকে পড়ে রাজ্জাকসহ আরো পাঁচটি পরিবার। স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমাংশায় কোন উপকারে অসেনি ভুক্তভোগি ওই পরিবার গুলোর। গ্রাম্য সালিশ উপেক্ষা করে আইনের দ্বারস্ত হয় রাজ্জাক ও তার পরিবার এখানেও কোন প্রতিকার হয়নি রাজ্জাকের । থানায় একাধিকবার সালিশ হলেও তা মানছে না আছাদ মাতুব্বর গংরা। গ্রাম্যভাবে বা গোষ্টি হিসাবে প্রভাবশালী হওয়ায় কোন মিমাংশাই মানছে না আছাদ গংরা।
ভুক্তভোগী রাজ্জাক মাতুব্বর বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর যাবত আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আমার চাচাতো ভাই আছাদ মাতুব্বরদের বাড়ির ভিতর দিয়ে আমরা চলাচল করতাম। হঠাৎ ওই পথের উপর দিয়ে ঘর নির্মান করে আমাদের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে আমরা পাঁচটি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছি। এই বন্ধিদশা থেকে মুক্তি পেতে
আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত আছাদ মাতুব্বর বলেন, আমি বা আমরা কারো পথ বন্ধ করি নাই।
তাদের চলাচলের জন্য অন্য জায়গা দিয়ে পথ দিয়েছি। থানায় একপেশীও সালিশ করেছে আমরা তা মানি নি।
সংস্লিষ্ট ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর
মো: জয়নাল বলেন, আমি এই বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। আমাকে কেউ এ বিষয়ে জানায় নি। শুনেছি থানায় কয়েক তরফা সালিশ হয়েছে। কোন সমাধান হয়নি।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, রাজ্জাক মাতুব্বরের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে ডেকে এলাকার শান্তির লক্ষে মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কোন পক্ষ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।