ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সদরপুরে জুলাই পূনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত ঢাকার মাইলইস্টোনে নিহত শিশুদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফরিদপুরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম: নায়াবা ইউসুফ ফরিদপুরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের  শোক র‍্যালি অনুষ্ঠিত  সালথায় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ শপথ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভাঙ্গায় বাসের ধাক্কায় মাহিন্দ্রের ৫ জন নিহতের ঘটনার ১৭ দিন পর বাস চালক গ্রেফতার  ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদকের ভোটে উপজেলা বিএনপির নেতা নির্বাচিত হবেন ফরিদপুরে ইটভাটায় ৮ লাখ টাকা দাবি, না পেয়ে প্রবেশপথ আটকিয়ে দেয়ার অভিযোগ ফরিদপুরে কিশোরদের মাধ্যমে মাদক বিক্রিকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক -১ সালথায় নানা বাড়িতে এসে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু 

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে বন্ধ ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’

একে আজাদ রাজবাড়ী:

 

মেয়েকে সঙ্গে করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিতে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা ফিরোজা পারভীন। তবে নোটিশ বোর্ড দেখে চোখ ছানাবড়া। কারণ পরপর তিনদিন ঘুরে ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার এই একই নোটিশ বোর্ড দেখছেন তিনি। বাধ্য হয়ে বারবারই ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা না নিয়েই। রোগী কমে যাওয়ায় কারণ দেখিয়ে‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ করে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতাল। এতে অল্প খরচে চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে হাসপাতাল

জানা গেছে,রাজবাড়ী জেলার প্রায় ১২ লাখ জনসংখ্যার চিকিৎসাসেবার প্রধান ভরসাস্থল জেলা সদর হাসপাতাল। মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চালু হয়‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’। এতে ডিউটি সময়ের বাইরে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পরামর্শ ফি নিয়ে রোগী দেখতেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে গত জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের এই চিকিৎসা সেবা। দায় এড়াতে বিকেল হলেই টাঙিয়ে দেওয়া হয় ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার নোটিশ বোর্ড।

ফিরোজা পারভীন বলেন,পরপর তিনদিন এসে একই নোটিশ বোর্ড দেখছি। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা কি প্রতিদিনই ছুটিতে থাকেন নাকি। জনগণের সঙ্গে এই তামাশা করার মানে কী?

আরেক রোগী মহসিন মৃধা বলেন, আগে যখন ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু ছিল, তখন দরিদ্র রোগীরা কম টাকায় ভালো সেবা পেত। কিন্তু এ সেবা বন্ধ হওয়াতে এখন দরিদ্র রোগীদের ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পরামর্শ ফি দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ দিতে চিকিৎসকরা আগ্রহ হারিয়েছেন। তবে আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা করব।

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৭:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
৭২ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে বন্ধ ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’

আপডেট সময় ০৭:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

 

মেয়েকে সঙ্গে করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ নিতে এসেছেন স্কুল শিক্ষিকা ফিরোজা পারভীন। তবে নোটিশ বোর্ড দেখে চোখ ছানাবড়া। কারণ পরপর তিনদিন ঘুরে ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার এই একই নোটিশ বোর্ড দেখছেন তিনি। বাধ্য হয়ে বারবারই ফিরে যেতে হচ্ছে চিকিৎসা না নিয়েই। রোগী কমে যাওয়ায় কারণ দেখিয়ে‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ বন্ধ করে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলা সদর হাসপাতাল। এতে অল্প খরচে চিকিৎসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে হাসপাতাল

জানা গেছে,রাজবাড়ী জেলার প্রায় ১২ লাখ জনসংখ্যার চিকিৎসাসেবার প্রধান ভরসাস্থল জেলা সদর হাসপাতাল। মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চালু হয়‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’। এতে ডিউটি সময়ের বাইরে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পরামর্শ ফি নিয়ে রোগী দেখতেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তবে গত জানুয়ারি মাস থেকে বন্ধ হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের এই চিকিৎসা সেবা। দায় এড়াতে বিকেল হলেই টাঙিয়ে দেওয়া হয় ‘চিকিৎসক ছুটিতে’ থাকার নোটিশ বোর্ড।

ফিরোজা পারভীন বলেন,পরপর তিনদিন এসে একই নোটিশ বোর্ড দেখছি। এই হাসপাতালের ডাক্তাররা কি প্রতিদিনই ছুটিতে থাকেন নাকি। জনগণের সঙ্গে এই তামাশা করার মানে কী?

আরেক রোগী মহসিন মৃধা বলেন, আগে যখন ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ চালু ছিল, তখন দরিদ্র রোগীরা কম টাকায় ভালো সেবা পেত। কিন্তু এ সেবা বন্ধ হওয়াতে এখন দরিদ্র রোগীদের ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পরামর্শ ফি দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ দিতে চিকিৎসকরা আগ্রহ হারিয়েছেন। তবে আমি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ‘বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ কার্যক্রম চালু করার চেষ্টা করব।