ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে ক্লাইমেট অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ সালথায় চলাচলের পথে ঘর নির্মানে প্রতিবেশির পথ বন্ধের অভিযোগ সদরপুরে ধর্ষণ ও মাদক মামলায় গ্রেপ্তার -২ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান অতপর: ৩২ জন ডাক্তারের ১০ জনই অনুপস্থিত সালথায় ৭০০ পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী রমজান গ্রেপ্তার ফরিদপুরে একাধিক চিরকুট লিখে মেয়ের শ্বশুরকে দায়ী করে ঠিকাদারের আত্মহত্যা ফরিদপুরে বাড়িঘরে অগ্নিকান্ড ও লুটপাট, পালিয়ে বেড়াচ্ছে নির্যাতিত নারী ফরিদপুরে নিষিদ্ধ হওয়া আ.লীগের ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ ফরিদপুরে বিক্রি হওয়া শিশু তানহাকে দেয়া হলো মায়ের জিম্মায়, আগামী ২ জুন শুনানি

ফরিদপুরে কৃষকের বরাদ্দের সার বিক্রির চেষ্টা, সার ফেলে পালালেন চেয়ারম্যানের সহযোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দকৃত সরকারী সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যান চালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

আজ সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিলো।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইউনুস নামে এক ব্যক্তি একটি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন এবং মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার ক্রয় করতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারী সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ইউনুসকে চেয়ারম্যানের ডানহাত হিসেবে সবাই চিনে। তার মাধ্যমে চেয়ারম্যান সার বিক্রি করছিল। পরে আমি পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে কিছুই জানেননা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার।

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, গত ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। তবে এই সার বিক্রি করতে গিয়েছিল কিনা আমি সঠিক জানি না, তবে শুনেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কি-না। কারন, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গুডাউন দেখে বলতে পারব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে এবং সারগুলো জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে এবং পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৮:৩৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
১৫৩ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে কৃষকের বরাদ্দের সার বিক্রির চেষ্টা, সার ফেলে পালালেন চেয়ারম্যানের সহযোগী

আপডেট সময় ০৮:৩৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দকৃত সরকারী সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যান চালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।

আজ সোমবার দুপুর ৩ টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিলো।

স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ইউনুস নামে এক ব্যক্তি একটি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন এবং মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার ক্রয় করতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারী সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই ইউনুসকে চেয়ারম্যানের ডানহাত হিসেবে সবাই চিনে। তার মাধ্যমে চেয়ারম্যান সার বিক্রি করছিল। পরে আমি পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে কিছুই জানেননা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার।

এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, গত ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে। তবে এই সার বিক্রি করতে গিয়েছিল কিনা আমি সঠিক জানি না, তবে শুনেছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কি-না। কারন, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গুডাউন দেখে বলতে পারব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে এবং সারগুলো জব্দ করে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হবে এবং পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।