ফরিদপুরে নিষিদ্ধ হওয়া আ.লীগের ২১ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ
ফরিদপুরে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় জামিন না মুঞ্জুর করে সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের ২১ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এ সময় একজনকে জামিন মুঞ্জুর করা হয় বলে আদালত সুত্রে জানা যায়।
আজ সোমবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা দায়রা ও জজ আদলতে জামিন আবেদন করেন ২২ জন নেতাকর্মী। এ সময় বিচারক জিয়া হায়দার ২১ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এই মামলার ২২ জন আসামি হাইকোর্টের নির্দেশে চার সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। হাইকোর্ট জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি আলী আশরায় জানান, আজ সোমবার ছিল হাইকোট থেকে জামিনে থাকার শেষ দিন। এজন্য আজ ওই ২২ আসামি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে শুনানি শেষে আদালত অসুস্থ বিবেচনা করে নবাব আলী (৬৫) নামে এক আসামির জামিন মঞ্জুর করলেও বাকি ২১ আসামির জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে পুলিশ প্রহরায় তাদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জেল হাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত যে সব আসামির জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেন দেন তারা হলেন, আলফাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক শেখ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম শেখ, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হাসমত হোসেন তালুকদার, যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুল শেখ, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মতিয়ার রহমান, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান।
এছাড়া জামিন বাতিল হওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীর মধ্যে রয়েছেন আবুল বাসার শেখ, বাদশা সিকদার, আসলাম মোল্লা, তাবিবুর রহমান, সেলিম শেখ, আব্দুল কুদ্দুস, আজিজুর রহমান তালুকদার, সুলতান মাহমুদ, আজিজ খন্দকার, শহিদুল ইসলাম, আইয়ুব আলী, সৈয়দ আশরাফ আলী, আবুল হোসেন ও হাসান মিয়া।
আলফাডাঙ্গা থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি আলফাডাঙ্গা থানায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন আলফাডাঙ্গা পৌরসদরের বুড়াইচ এলাকার ইদ্রিস সর্দারের ছেলে বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার। এ মামলায় আড়াই থেকে তিন হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।