ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

সালথায় ইফতারের পর দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ

সালথা প্রতিনিধি:

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা বাগবাড়ি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ও পূর্বের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এবং বাড়িঘর ভাংচুরে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ইফতারের পরে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ থাকলেও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আহতের খবর পাওয়া যায় নাই ।

জানা যায়, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আছাদ মাতুববরের সমার্থক আফতাব মৃধা ও জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীরের সমর্থক তুরাপ মাতুবরের মধ্যে সন্ধ্যার পরে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে স্থানীয় হারুন মাতুবরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে ইফতারের পরে বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে ফের তুরাপ মাতুব্বরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় জাহাঙ্গীরের কয়েক সমার্থকের বাড়ী ভাংচুর করা হয়।

অভিযোগ আছে, ইফতারের পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে গেলে তুরাপ মাতুবরের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধা কে ধাওয়া দিলে আফতাব মৃধার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং কয়েকটি বাড়ি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না। যে কারণে, সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানতাম। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি মিটিংয়ে এলাকার লোক আসলে পরে আছাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুববর সাংবাদিকদের জানান, জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে । আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।

ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয়রআওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুববর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধা কে হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির ব্রারা কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।

এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০২:২২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
৮৫ বার পড়া হয়েছে

সালথায় ইফতারের পর দুই গ্রুপের সংঘর্ষ : বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ

আপডেট সময় ০২:২২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

 

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সালথা বাগবাড়ি এলাকায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে ও পূর্বের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ এবং বাড়িঘর ভাংচুরে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে ইফতারের পরে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ থাকলেও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আহতের খবর পাওয়া যায় নাই ।

জানা যায়, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপির নেতা আছাদ মাতুববরের সমার্থক আফতাব মৃধা ও জামায়াতে ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীরের সমর্থক তুরাপ মাতুবরের মধ্যে সন্ধ্যার পরে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় উভয়পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে সালথা বাজারে স্থানীয় হারুন মাতুবরের সাথে দেনা পাওনা নিয়ে আফতাব মৃধার কথা কাটাকাটি হয় এর জের ধরে ইফতারের পরে বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে ফের তুরাপ মাতুব্বরের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় দুই পক্ষ সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এসময় জাহাঙ্গীরের কয়েক সমার্থকের বাড়ী ভাংচুর করা হয়।

অভিযোগ আছে, ইফতারের পরে আফতাব মৃধা বাগবাড়ি একটি দোকানের সামনে গেলে তুরাপ মাতুবরের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হারুন মাতুব্বর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধা কে ধাওয়া দিলে আফতাব মৃধার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং কয়েকটি বাড়ি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
এ বিষয়ে জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লা সাংবাদিকদের জানান আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে কিছুদিন আগে আছাদ মাতুববর এলাকার লোকজন ডাকে। সেখানে আমার পক্ষের কিছু লোক যায় না। যে কারণে, সে ক্ষিপ্ত আমি আগেই জানতাম। গত ২৯ অক্টোবর আমার একটি মিটিংয়ে এলাকার লোক আসলে পরে আছাদ তাদের নিষেধ করে। আজ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা দেখানোর জন্য আমার পক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে এবং ১০ টি বাড়ি ঘর ভাংচুর করে।

এ বিষয় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা আছাদ মাতুববর সাংবাদিকদের জানান, জামাত ইসলামের নেতা জাহাঙ্গীর মোল্লাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি করছে । আমি কোন গ্যাঞ্জামের পক্ষে না।

ঘটনার সময় আমি সালথা কলেজে ছাত্রদলের ইফতার মাহফিলে ছিলাম। খবর পেয়ে থানায় ফোন দেই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য । জানতে পারি বাগবাড়ী দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্থানীয়রআওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা হারুন মাতুববর ঢাল কাতরা নিয়ে আফতাব মৃধা কে হামলা চালায় এরপর সংঘর্ষ বেধে যায়। তিন চারটি বাড়ির ব্রারা কেটে ফেলে। জাহাঙ্গীর মোল্লা আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা বলেছে।

এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আতাউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গ্যাঞ্জামের খবর পেয়ে পুলিশ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকা শান্ত আছে। অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।