ঢাকা ১১:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলফাডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ৬ বসতবাড়ি ভাঙচুর, নারীসহ আহত ৮ সেতু না থাকায় যুগ যুগ দুর্ভোগে দুই উপজেলার হাজারো বাসিন্দা ফরিদপুরে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারি গ্রেফতার আগামীকাল ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা, তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে আজানের শব্দে ‘অসুবিধা হচ্ছে’ বলায় বিএনপি নেতার প্রতিবাদ, ছুরিকাঘাতে হত্যা মধ্যরাতে ডাকসু প্রার্থীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, আতঙ্ক ফরিদপুরে তিনমাসে ১৩২ মাদক কারবারী গ্রেফতার, বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ ফরিদপুরে ১০৬ বছর পরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক শোডাউন ফরিদপুরে শ্রমিকদলের সংবাদ সম্মেলন: পূর্বের কমিটিকে অবৈধ ও কার্যকলাপ বেআইনী ঘোষণা ধর্ষণ বা যৌণ হয়রানির ৮০ শতাংশ ঘটনা আপোষ হওয়ায় কমছে বিচার, বাড়ছে ঘটনা

ফরিদপুরে ১০৬ বছর পরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক শোডাউন

শ্রাবণ হাসান

আত্মপ্রকাশের ১০৬ বছর পর ফরিদপুরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিকভাবে শোডাউন করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন নেতাকর্মীরা।

 

ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) দলটির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির জেলা শাখার সভাপতি মুফতি কামরুজ্জামানের উদ্যোগে এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়। এ সময় ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনের প্রার্থী মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী ও ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের প্রার্থী মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী অংশগ্রহণ করেন।

 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টায় শহরের জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও পিকআপ যোগে শোডাউনটি বের হয়। এ সময় সাদা-কালো রংয়ের দলীয় পতাকা হাতে ও দলীয় প্রতীক খেজুর গাছের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত করেন। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে মডেল মসজিদ এলাকায় গিয়ে শেষ করেন।

 

জানা যায়, মুফতি কামরুজ্জামান সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব পদে রয়েছেন। এছাড়া তিনি জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

শোডাউনের পূর্বে মুফতি কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন- ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ এর আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভূমিকা অপরিহার্য। সংগঠনটির ফরিদপুর কার্যক্রম কম ছিল, এখন থেকে বেগমান হবে। দল আমাকে মনোনীত করেছেন, আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য কাজ করে যাব।

 

তিনি বলেন- ‘কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণকে একথা বুঝানোর জন্য যে, যখন ক্ষমতা উলামাদের হাতে থাকবে- ইনশাল্লাহ সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। ঘুষ-দুর্নীতি, অসামাজিক কাজ থেকে ছেলে-মেয়েরা বিরত থাকবে। আমরা চেষ্টা করব যেন একটি সুন্দর সমাজ জনগণকে দিতে পারি৷’ এছাড়া ইসলামিকপন্থী দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন বলে জানিয়েছেন।

 

মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফরিদপুরের প্রবীণ আলেমে দিন চর কমলাপুর মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ আবুল হুসাইন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল, সহ-সভাপতি মুফতি জাকির হোসাইন, মাওলানা মানসুর আহমেদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন,, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কবির আহমেদ সহ অনেকে। এ সময় সকল উপজেলার নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

সংগঠনটি সুত্রে জানা যায়, ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো ভারত উপমহাদেশে রাজনৈতিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর ভারত উপমহাদেশ থেকে পাকিস্তান বিভক্ত ও পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আলাদাভাবে কার্যক্রম শুরু করে দলীয় নেতারা। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় এবং ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর ২৩ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে।

 

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০১:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
৪৪ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুরে ১০৬ বছর পরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক শোডাউন

আপডেট সময় ০১:০১:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

আত্মপ্রকাশের ১০৬ বছর পর ফরিদপুরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিকভাবে শোডাউন করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দলের মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে এই শোডাউন করেন নেতাকর্মীরা।

 

ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) দলটির মনোনীত প্রার্থী ও দলটির জেলা শাখার সভাপতি মুফতি কামরুজ্জামানের উদ্যোগে এই মোটরসাইকেল শোডাউন বের করা হয়। এ সময় ফরিদপুর-১ (আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী) আসনের প্রার্থী মুফতি জাকির হোসেন কাসেমী ও ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের প্রার্থী মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী অংশগ্রহণ করেন।

 

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ৩টায় শহরের জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসা থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও পিকআপ যোগে শোডাউনটি বের হয়। এ সময় সাদা-কালো রংয়ের দলীয় পতাকা হাতে ও দলীয় প্রতীক খেজুর গাছের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন এবং বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত করেন। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে মডেল মসজিদ এলাকায় গিয়ে শেষ করেন।

 

জানা যায়, মুফতি কামরুজ্জামান সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব পদে রয়েছেন। এছাড়া তিনি জামিয়া আরাবিয়া শামসুল উলুম মাদ্রাসার মোহতামিম হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

 

শোডাউনের পূর্বে মুফতি কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন- ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪ এর আগস্ট পর্যন্ত সকল আন্দোলনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভূমিকা অপরিহার্য। সংগঠনটির ফরিদপুর কার্যক্রম কম ছিল, এখন থেকে বেগমান হবে। দল আমাকে মনোনীত করেছেন, আমার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য কাজ করে যাব।

 

তিনি বলেন- ‘কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণকে একথা বুঝানোর জন্য যে, যখন ক্ষমতা উলামাদের হাতে থাকবে- ইনশাল্লাহ সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। ঘুষ-দুর্নীতি, অসামাজিক কাজ থেকে ছেলে-মেয়েরা বিরত থাকবে। আমরা চেষ্টা করব যেন একটি সুন্দর সমাজ জনগণকে দিতে পারি৷’ এছাড়া ইসলামিকপন্থী দলগুলোর জোটের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন বলে জানিয়েছেন।

 

মোটরসাইকেল শোডাউন ও মিছিল শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ফরিদপুরের প্রবীণ আলেমে দিন চর কমলাপুর মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ আবুল হুসাইন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসমাইল, সহ-সভাপতি মুফতি জাকির হোসাইন, মাওলানা মানসুর আহমেদ, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন,, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মতিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কবির আহমেদ সহ অনেকে। এ সময় সকল উপজেলার নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

 

সংগঠনটি সুত্রে জানা যায়, ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো ভারত উপমহাদেশে রাজনৈতিকভাবে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর ভারত উপমহাদেশ থেকে পাকিস্তান বিভক্ত ও পরবর্তীতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আলাদাভাবে কার্যক্রম শুরু করে দলীয় নেতারা। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হয় এবং ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর ২৩ নম্বর দল হিসেবে নিবন্ধন লাভ করে।