আলফাডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ৬ বসতবাড়ি ভাঙচুর, নারীসহ আহত ৮
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হামলায় বসতঘর ভাঙচুরসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত অবস্থায় দুইজন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিদ্যাধর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম (সরফেজ) নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন। এ সময় ৬ টি বসতঘরেও ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম (সরফেজ) ও স্থানীয় বোরহান মিয়া গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ওই যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ২০/৩০ জনের একটি দল লাঠিশোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গ্রামের প্রতিপক্ষ বোরহান মিয়া গ্রুপের আলমগীর মিয়া, আইয়ুব মিয়া, ব্রাহ্মন জাটিগ্রামের মান্নু খান্দার, ইলিয়াস মিয়া, ওহিদুর মিয়া ও আওলাদ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় ঘরবাড়ি আসবাপত্র ভাংচুর করা হয়। এতে বাঁধা দেওয়ায় তাদের পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। আহতদের উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে আলমগীর মিয়া (৫৫) ও তার ছেলে মো. হামিম মিয়ার (২৭)অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলামের (সরফেজ) মোবাইলে যোগাযোগ করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শাহ জালাল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।