ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আলফাডাঙ্গায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ৬ বসতবাড়ি ভাঙচুর, নারীসহ আহত ৮ সেতু না থাকায় যুগ যুগ দুর্ভোগে দুই উপজেলার হাজারো বাসিন্দা ফরিদপুরে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ চার মাদক কারবারি গ্রেফতার আগামীকাল ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণা, তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে আজানের শব্দে ‘অসুবিধা হচ্ছে’ বলায় বিএনপি নেতার প্রতিবাদ, ছুরিকাঘাতে হত্যা মধ্যরাতে ডাকসু প্রার্থীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ, আতঙ্ক ফরিদপুরে তিনমাসে ১৩২ মাদক কারবারী গ্রেফতার, বিপুল মাদকদ্রব্য জব্দ ফরিদপুরে ১০৬ বছর পরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের রাজনৈতিক শোডাউন ফরিদপুরে শ্রমিকদলের সংবাদ সম্মেলন: পূর্বের কমিটিকে অবৈধ ও কার্যকলাপ বেআইনী ঘোষণা ধর্ষণ বা যৌণ হয়রানির ৮০ শতাংশ ঘটনা আপোষ হওয়ায় কমছে বিচার, বাড়ছে ঘটনা

সালথায় আওয়ামীলীগ বিএনপি সংঘর্ষে অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭০ জনের নামে মামলা

সালথা প্রতিনিধিঃ

ছবিঃ ফটো ফাইল

ফরিদপুর সালথা উপজেলায় গত ২এপ্রিল আওয়ামীলীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় অসুস্থ্য মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭০ জনের নামে মামলা হয়েছে।মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

সেদিনের আওয়ামীলীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যান আফসার মাতুববরকে প্রধান আসামী করে ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

ঘটনা প্রকাশে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা জানান, এতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা। তবে ঘটনার দিন দুপুর থেকেই অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যান আফসার মাতুববর ফরিদপুর শহরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থান করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়। এর আগে আফসার মাতুববর ফরিদপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ও ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার নেন এবং তিনি দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভূগছেন।

জানা যায়, আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া, টিটুল মেম্বার, তুহিন মিয়া, আকরাম শেক সহ ১৫-২০ জন সকাল ১০ টার দিকে স্থানীরা আজিজুলের বাড়ির ওপর এসে বলে ভালোই তো আছিস, অনেক পিয়াজ পাইছিস। আমাদের ৩ লাখ টাকা দিবি তা না হলে তোদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দিবো। ঐ টাকা না দেওয়ায় তারা আজিজুলকে রানদা দিয়ে মাথা লক্ষ করিয়া কোপ মারে উক্ত কোপ ডান চোখের নিচে লেগে হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।এর পর স্থানীরা আজিজুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। তবে বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়া চাঁদার অভিযোগ অস্বীকার করে।

এর সূত্র ধরে ফের বিকালে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থক কৃষক কবির শেখের খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এবিষয় সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান জানান মাঝারদিয়ার সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে, এলাকার পরিস্থতি শান্ত আছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
আপডেট সময় ০৩:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
১৩০ বার পড়া হয়েছে

সালথায় আওয়ামীলীগ বিএনপি সংঘর্ষে অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭০ জনের নামে মামলা

আপডেট সময় ০৩:০৫:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ছবিঃ ফটো ফাইল

ফরিদপুর সালথা উপজেলায় গত ২এপ্রিল আওয়ামীলীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় অসুস্থ্য মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭০ জনের নামে মামলা হয়েছে।মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

সেদিনের আওয়ামীলীগ বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত এবং বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যান আফসার মাতুববরকে প্রধান আসামী করে ৭০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

ঘটনা প্রকাশে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা জানান, এতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা। তবে ঘটনার দিন দুপুর থেকেই অসুস্থ্য ইউপি চেয়ারম্যান আফসার মাতুববর ফরিদপুর শহরে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থান করেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়। এর আগে আফসার মাতুববর ফরিদপুর ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ও ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার নেন এবং তিনি দীর্ঘদিন জটিল রোগে ভূগছেন।

জানা যায়, আগে থেকেই দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন গত ২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ- সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া, টিটুল মেম্বার, তুহিন মিয়া, আকরাম শেক সহ ১৫-২০ জন সকাল ১০ টার দিকে স্থানীরা আজিজুলের বাড়ির ওপর এসে বলে ভালোই তো আছিস, অনেক পিয়াজ পাইছিস। আমাদের ৩ লাখ টাকা দিবি তা না হলে তোদের এলাকা থেকে বিতাড়িত করে দিবো। ঐ টাকা না দেওয়ায় তারা আজিজুলকে রানদা দিয়ে মাথা লক্ষ করিয়া কোপ মারে উক্ত কোপ ডান চোখের নিচে লেগে হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।এর পর স্থানীরা আজিজুলকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। তবে বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়া চাঁদার অভিযোগ অস্বীকার করে।

এর সূত্র ধরে ফের বিকালে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ সময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থক কৃষক কবির শেখের খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এবিষয় সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান জানান মাঝারদিয়ার সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং একজন আসামী গ্রেপ্তার হয়েছে, এলাকার পরিস্থতি শান্ত আছে।